গৌরীপুরের সহনাটী ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা হুমায়ুন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গৌরীপুর থানায় মামলা, গ্রেফতার-১

- আপডেট সময় : ০৫:৪৫:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ ২৬ বার পড়া হয়েছে
মোখলেছুর রহমান, গৌরীপুর প্রতিদিন: ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটী ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর (২২) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোমবার (১৬ জুন/২৫) গৌরীপুর থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের বাবা খাইয়ুম মিয়া (কাইয়ুম) পুত্র হত্যার বিচার চেয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ সোনাকান্দি গ্রামের মজিবুর রহমানের পুত্র মো. সোহাগ মিয়া (৩০)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ইসলাম। তিনি জানান, মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য টেকনিক্যাল সহযোগিতাও নেয়া হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৩ জুন/২৫) বিকেল ৬টার দিকে হুমায়ুন কবির (২২) নিজ গ্রাম সোনাকান্দি থেকে পাছার বাজারে যাচ্ছিলো। যাওয়ার পথে মো. মেহেদী হাসান টুটুলের বাড়ি সামনে যেতেই আসামী পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার গতিরোধ করে। এ সময় সে দৌড়ে তারা মিয়ার চায়ের দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানেই চাইনিজ (টিপ ছুড়ি) ছুড়ি দিয়ে ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনায় সোনাকান্দি গ্রামের মো. আব্দুল কদ্দুছের পুত্র মো. বাদল মিয়া ওরফে তোতা মিয়া (২১) কে প্রধান আসামী করা হয়েছে। এছাড়াও একই গ্রামের মো. শামছুর হকের পুত্র মো. রাশিদুল ইসলাম রানা ওরফে রাসু (২২) সহ ১১জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৫/৬জনকে আসামি করা হয়।
সহনাটী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আমিন রতন জানান, হুমায়ুন কবীর ও সোহাগ মিয়া বাড়ি থেকে পাছার বাজারে যাচ্ছিলো। যাওয়ার পথে রানা ও বাদল ওর পথরোধ করে। এ সময় হুমায়ুন দৌড়ে তারা মিয়ার চায়ের দোকানে গেলে ছুরিকাঘাত করে। তাকে গৌরীপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। সোনাকান্দি গ্রামের সোহাগ মিয়া জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১টায় সহনাটী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আবুল কাসেমের দোকানে পানের ১০টাকা বিল নিয়ে রানা ও বাদলের সাথে ঝগড়া হয়। এ সময় হুমায়ুন সেই ঝগড়া মিটিয়ে ১০টাকা পরিশোধ করে দিয়ে আসে। এতে ওরা হুমায়ুনের উপর ক্ষিপ্ত হয়। অপর একটি সূত্র জানায়, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে হুমায়ুন কবীর স্বোচ্চার ছিলো। মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতো। সেই ঘটনার জের ধরেই মূলত থাকে হত্যা করা হয়েছে।