গৌরীপুরে গভীর রাতের আগুনে পুড়লো একাধিক বসত ঘরসহ ২ গরু

- আপডেট সময় : ০৩:৫১:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১৪ বার পড়া হয়েছে
গৌরীপুর প্রতিদিন
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চুড়ালী গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে আগুনে পুড়ে গেছে নয়টি ঘর ও দুইটি গরু। ধারণা করা হচ্ছে গোয়াল ঘর থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- উল্লেখিত গ্রামের আবুল কাসেম ও তার ছোট ভাই আব্দুস ছালাম। এছাড়াও আগুনের লেলিহান শিখা থেকে বাঁচতে ভাঙতে হয়েছে তাদের ভাতিজা সারোয়ার ও ফারুকের বসত ও গোয়াল ঘর। খরব পেয়ে গৌরীপুর ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই পুড়ে সব শেষ হয়ে গেছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
আবুল কাসেম জানান- রাত ১১টার দিকে মানুষের চিৎকার চেচামেচি শুনে তাদের ঘুম ভাঙ্গে। দেখেন ধোঁয়ায় ঘর ভরে আছে ও চালে আগুন জ্বলছে। জীবন বাঁচাতে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে আসেন। কাপড়চোপড়, ধান-চাল কিছুই তাদের অবশিষ্ট নেই। প্রতিবেশিরা এসে গোয়াল ঘরের থাকা ৬টি গরুর মধ্যে চারটিকে বাঁচাতে পেরেছেন, একটি গর্ভবতী গাভীসহ দুইটি গরু পুড়ে গেছে।
প্রতিবেশি সাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান- তিনি ঘুমাচ্ছিলেন, হঠাৎ মানুষের আগুন আগুন চিৎকার শুনে তার ঘুম ভাঙ্গে। ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন আবুল কাসেমের ঘরে আগুন জ্বলছে। তিনি দৌড়ে এসে ঘোয়াল ঘর থেকে গরুগুলো বের করেন। দুইটি গরুর শরীরে আগেই আগুন ধরে গেছে তাই সেগুলো বের করতে পারেননি।
গৌরীপুর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোঃ শাহজাদা বলেন ৯৯৯-এ কল পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিক দুইটি ইউনিট নিয়ে বের হন। কিন্তু লোকেশন ট্র্যাকিং করতে সময় লাগে। এছাড়া সরু সড়ক হওয়ার কারণে বড় গাড়িটি অনেক দুর রেখে যেতে হয়েছে, যে কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছুতে পৌঁছুতে ঘরগুলো পুড়ে যায়। দুইটি টিনের বসত ঘর, দুইটি রান্না ঘর ও দুইটি গোয়াল ঘর, তিনটি ছোট ঘর ও দুইটি গাভী আগুনে পুড়ে গেছে। এতে প্রাথমিকভাবে ৮ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
খবর পেয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গৌরীপুর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা ক্ষতিগ্রস্ত ৩ পরিবারকে ১০ হাজার করে নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেন।